অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলা বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী মিশনগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল, সিনিয়র কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাদের সঙ্গীরা যোগ দেন।
এছাড়াও জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, সৌদি আরব, মিশর, ইতালি, ব্রাজিল, বেনিন, এন্ডোরা, বারবাডোস, কলম্বিয়া ও এস্তোনিয়াসহ প্রায় ৪০টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বরেণ্য নারীরা।
নারীদের প্রাধান্য দিয়ে আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান ও পরিকল্পনায় ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের স্ত্রী ফাহমিদা জাবিন।
প্রবাসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের এ ধারা বহির্বিশ্বে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির প্রসারে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে মনে মন্তব্য করেন আগত অতিথিরা।
মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনকে আবহমান বাঙালির সংস্কৃতির অসংখ্য উপাদান যেমন ঢাক-ঢোল-একতারা, পালতোলা নৌকা, ডালা-কুলা, তালপাতার পাখা, নকশী কাঁথা, মাটির পুতুল, মাটির থালা-বাসন, কাঁচের চুড়ি, মাছ ধরার পোলো, পালকি, পাটের সুতার সিকা, আলপনা ও নানা-বর্ণের ব্যানার-ফ্যাস্টুন-বেলুন ও শাড়ি দিয়ে সাজানো হয়।
বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান মাসুদ বিন মোমেন ও তার স্ত্রী ফাহমিদা জাবিন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয় বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকদের সন্তানদের দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের আপ্যায়নে ছিল ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার আর মিষ্টি।