মায়ের পাশাপাশি বাবারও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
বাবা হচ্ছে ভরসার স্থল, যার ওপর চোখ বন্ধ করে নির্ভর করা যায়। বাবার তুলনায় তিনি নিজেই। তাই তো.. মরিয়া বাবর অমর হয়েছে, নাহি তার কোনো ক্ষয়/ পিতৃস্নেহের কাছে হয়েছে মরণের পরাজয়’— সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা এতোটাই স্বার্থহীন যে, সন্তানের জন্য নিজের প্রাণ দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন নাই। বাবারা প্রতিদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, নিজেদের সুখ বিসর্জন দিয়ে প্রতিপালন করেন সংসার-সন্তানদের। তাদের সেই অবদানকে হৃদয় দিয়ে স্মরণ করতেই বছরের একটা দিন বাবাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু হয়। তবে ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিক থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। উইকিপিডিয়া’র তথ্যানুযায়ী, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই প্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় প্রথম এ দিনটি পালিত হয়। আবার ‘সনোরা স্মার্ট ডড’ নামে ওয়াশিংটনের এক নারীর মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৯ সালে ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মাকে নিয়ে অনেক ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়েছিল, তাহলে বাবাদের নিয়ে কিছু করা দরকার। ডড আবার তার বাবাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর ১৯১০ সালের ১৯ জুন বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের নিজস্ব নিয়মে বাবা দিবস পালন করে। ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস। বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে বাবা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
বাবা দিবসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও ছবির মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করা হচ্ছে।