ঝিনাইদহ, ২৩ অক্টোবর (ইউএনবি)- বাবা ভিক্ষা করে টাকা জোগাড় করবেন। তারপর সেই টাকায় কেনা হবে অপরেশনের ওষুধ ও হাড় জোড়া দেয়া কাজে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল টুলস। টাকা জোগাড় হয়নি বলে নয়নের অপারেশনও হচ্ছে না। তাই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের ৫নং সাধারণ বেডে নয়ন অপারেশনের জন্য প্রহর গুণছে।
শিশু নয়ন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে। তার বাবা নওশের আলী ভিক্ষা করে সংসার চালান। গাছ থেকে পড়ে এখন সন্তানের পা ভেঙে অচল প্রায়। তাই ভিক্ষার টাকায় সংসারের খরচ মিটিয়ে জমানো টাকায় চিকিৎসা হবে দরিদ্র এই পিতার সন্তানের।
নয়নের মা ছায়েরা বেগম জানান, দুই সপ্তাহ আগে নয়ন তালগাছে উঠতে গিয়ে পড়ে যায়। এতে তার ডান পায়ের হাটুর উপর থেকে ভেঙে যায়। হাসপাতালে ভর্তির পর তার পায়ে টানা বেঁধে রাখা হয়েছে।
চাচা আব্দুল লতিফ জানান, ওষুধ কেনার মতো তাদের কোনো সামর্থ নেই। তার ভাই নওশের আলী ভিক্ষা করে যা পারছেন তাই ছেলের অপারেশনের জন্য জমা করা হচ্ছে। এই অপারেশনে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাগতে পারে বলে চিকিৎসকরা নয়নের পরিবারকে জানিয়েছেন।
হাসপাতালে একমাত্র ভাইয়ের মাথার কাছে বসে বোন শেফালী খাতুন কাঁদছেন; কি ভাবে চিকিৎসার টাকা জোগাড় হবে।
হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, পরিবারটি একেবারেই হতদরিদ্র। ছেলেটা পা ভেঙে হাসপাতালে পড়ে আছে। সমাজের বিত্তবানদের নয়নের পাশে দাড়ানো উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের হাড়জোড় অর্থপেডিক্স চিকিৎসক ডাঃ জিএম মনির জানান, তারা নয়নকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সিরিয়াল শেষ হলে দ্রুত তার পায়ে অপারেশন করা হবে।
নয়নের পরিবারকে কেও সাহায্য করতে চাইলে তাদের ০১৮৪৬-০২০৬৩৭ নাম্বারে বিকাশ করতে পারেন।