আটক সাদ্দাম হোসেন (৩০) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আব্দুল লতিফ গাজীর ছেলে। তিনি শরণখোলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
নিহত জোৎসনা বেগম তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি খুলনার রূপসা উপজেলায় চাঁনপুর গ্রামের আবু বক্কর শেখের মেয়ে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, প্রায় ১১ মাস আগে সাদ্দাম তাফালবাড়ি ফাঁড়িতে যোগদান করেন। তিনি ফাঁড়ির কাছে ভাড়া বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রী জোৎসনা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি স্ত্রীকে চার টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে বাড়িতে পাশের কক্ষে লুকিয়ে রাখেন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লাশ উদ্ধার এবং সাদ্দামকে আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে, বলেন ওসি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, কয়েক দিন আগে সাদ্দামের ছেলের সাথে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ছেলের ঝগড়া হয়। ওই ঝগড়ার কারণে সাদ্দাম ছেলেকে শাসন করেন। এতে স্ত্রী জোৎসনা বেগম ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ তৈরি হয়।
খুনের ঘটনায় নিহতের মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে সাদ্দামকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।