সূত্র জানায়, লাকসাম-আখাউড়া ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণসহ আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের উন্নয়ন কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলার বিভিন্ন অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার রেলস্টেশনের উত্তর দিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। আর বৃহস্পতিবার বিকাল নাগাদ ১৭টি কোয়ার্টার ও রেলের জায়গায় থাকা অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়।
রেলওয়ের কর্মচারী মো. জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, তিনি রেলের যে কোয়ার্টারে থাকেন সেটির চলতি মাসের ভাড়াও পরিশোধ করে রেখেছেন। অথচ বৃহস্পতিবার হুট করে এসেই তার নামে বরাদ্দ থাকা বাসা ভাঙতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। মালামাল সরানোর জন্য সময় চাইলেও সেটিতে তারা রাজি হয়নি। এ অবস্থায় তার মতো অনেকেই চরম বিপাকে পড়ে যান।
রেলের ইলেকট্রিক বিভাগে কর্মরত হরেকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘বৈধভাবে কোয়ার্টারে বসবাস করছি। কথা ছিলো আপাতত অবৈধভাবে বসবাসরতদের বাসা ভাঙা হবে। যাদের নামে বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দিয়ে ভাঙা হবে। কিন্তু সেটা না করে হুট করে বাসা ভেঙে দিল।’
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহাকরী প্রকৌশলী (কার্য্য) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘রেলওয়ের বাসাগুলো আমাদের অধীনে হলেও অভিযানের কাজটি করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এ বিষয়ে তারা আমার সাথে কথা বলেছে। তারা বলেছে যে যাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে তাদের ইতোমধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছে। অন্যদের বাসা তাৎক্ষণিকভাবে বরাদ্দ বাতিল করে মালামাল সরানোর সময় দেয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, যাদের নামে এখনও বরাদ্দ আছে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
অভিযানের তদারকিতে থাকা রেলওয়ের পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশিক মাহমুদুল হক জানান, ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তদের সরে যাওয়ার জন্য একাধিক চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু অনেকেই সরেননি। বরাদ্দ থাকা অবস্থায় কোনো কোয়ার্টার ভাঙা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।