বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান ফেসবুক পেজে এমন বার্তা দিয়েছেন।
গেল সপ্তাহে বন্যায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। খামারিদের ৩ হাজার পুকুরের ২১ কোটি টাকার মাছ ভেসে যায়। ৩০০ কোটি টাকার সড়ক অবকাঠামোর ক্ষতি হয় এবং ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমির আউশ ধান ও বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়। এছাড়া হাওর এলাকার অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
ওই বন্যার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবারও অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বোর্ড সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি সমতলের ৭ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় এবং বিপদ সীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আগামী পাঁচ দিন উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে মেঘালয় বেসিনে বৃষ্টিপাত হলে হাওর এলাকার নদ-নদীর পানি বাড়বে। পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে আবারও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।’