তারা হলেন- মুদি দোকানদার ফিরোজ আহমদ (৫৩) ও ওই দোকানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন (১৬)। ফিরোজ আহমদ কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জামছড়ি এলাকার লাল মিয়ার ছেলে এবং আনোয়ার হোসেন একই ইউনিয়নের শুকমনিয়া গ্রামের নুর কাদেরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গর্জনিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের শিখা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামু এবং কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত আড়াইটার দিকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে বাজারের চারটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় দোকান মালিক ফিরোজ আহমদ ও তার এক কর্মচারী দোকানের ভেতরে ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাদের খোঁজ না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা ওই দোকানে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডে ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান, দিল মোহাম্মদের ওয়ার্কশপ, আবদুল করিমের চাউলের দোকান, মনির আহমদের চাউলের দোকান বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই চারটি দোকানই বাজারের বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এসব দোকানের মালামালও ছিল প্রচুর। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই কোটি টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান।
এসময় রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।