শনিবার সকালে হাসপাতালে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চিকিৎসকরা।
এসময় বলা হয়, চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাদের বেশিরভাগেরই বর্তমান অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং শিগগিরই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।
তবে ওই নার্স এবং অন্য আরও ৩ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও করোনা চিকিৎসক সমন্বয় কমিটির আহবায়ক আজিজুল হক আজাজ।
তিনি জানান, ওই নার্স গত ১০ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। এছাড়া তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য উপসর্গগুলোও রয়েছে। তাই তাকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গত ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে চালু করা হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব। শুক্রবার পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে এ ল্যাবে পাঠানো হয়। তবে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচজনের। এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
এদিকে, শনিবার জেলা প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত মার্চ মাসে রাজশাহীতে বিদেশ থেকে এসেছেন দুই হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৮০ জনকে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, রাজশাহীর সব উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। কোন রোগী যেন চিকিৎসা বঞ্চিত না হন এবং কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ যেন খাবার পান সেদিকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়াও মানুষকে বাড়িতে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।