খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
সাধনা মিস্ত্রী মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত কমলেশচন্দ্র হালদারের স্ত্রী ও মণিরামপুর হাসপাতাল গেট এলাকার বাসিন্দা।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপকুমার বসু জানান, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে অফিস শেষে স্বাস্থ্যকর্মী জাহিদের মোটরসাইকেলে চড়ে করোনা টেস্ট সংক্রান্ত কাজে কেশবপুরে যাচ্ছিলেন সাধনা। চিনাটোলা বাজার পার হলে মোটরসাইকেলের চাকায় শাড়ি প্যাঁচিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
গত ২ এপ্রিল থেকে মণিরামপুরে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন সাধনা। একপর্যায়ে ২৭ এপ্রিল তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নিজেই নমুনা দেন এবং ২৯ এপ্রিল প্রতিবেদনে তার করোনা পজেটিভ আসে। এরপর হোম আইসোলেশনে চলে যান তিনি। ১৫ দিন আইসোলেশনে থাকার পর ১৪ মে সুস্থ হন সাধনা। আবার নেমে পড়েন নমুনা সংগ্রহে। সোমবার আহত হওয়ার আগেও তিনি সাতটি নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানান ডা. অনুপ।