খুলনা সিভিল সার্জনের নির্দেশনার মঙ্গলবার থেকে আইসোলেশন ইউনিট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রত্যেক হাসপাতালে পাঁচটি বেড নিয়ে এ ইউনিট খেলা হয়েছে।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও একই ইউনিট চালু করা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কামাল হোসেনকে প্রধান করে এ ইউনিট খোলা হয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার থেকে প্রত্যেক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে বেড নিয়ে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালেও একই ইউনিট খোলার নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের সাথে করোনাভাইরাস নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে এ নির্দেশনা দেন। একই সাথে দেশের সকল স্থল ও নৌবন্দরে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সতর্ক দৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
প্রত্যেক ইউনিটে সংশ্লিষ্ট আরএমও ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এই ইউনিটের প্রধান করে একটি টিম গঠন করা হয়। প্রতিদিন আইসোলেশন ইউনিট কার্যক্রমবিষয়ক মনিটরিং করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, সোমবারই মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কামাল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচটি বেড সম্বলিত আইসোলেশন ইউনিট খোলর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সহকারী পরিচালক ডা. ফেরদৌসী আক্তার বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্ততি হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে খুলনা বিভাগের সকল সিভিল সার্জনকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।