পরে উপজেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তির বাড়ির আশেপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করেছে এবং তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছে।
সেই সাথে মাসুদ রানার মরদেহ পিপিই (বিশেষভাবে আবৃত করে রাখার পোশাক) দ্বারা আবৃত করে দাফনের পরামর্শ দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের মুরইল দক্ষিণপাড়ায়। তিনি ওই গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে।
মৃত মাসুদ রানা ঢাকায় ব্যবসা করতেন এবং তার স্ত্রী সাজেদা বেগম একটি এনজিওর শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ শাখায় কর্মরত।
জানা যায়, ঢাকায় অবস্থানকালে ওই ব্যক্তি জ্বর, সর্দিকাশি এবং গলাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ মার্চ বগুড়ায় তার বাড়িতে ফেরেন। এরপর শুক্রবার দাড়িদহ গ্রামে তার স্ত্রীর ভাড়াবাড়িতেও যান।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি ২৭ হাজার ছাড়াল
পরে শুক্রবার রাতে তার শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায় এবং এক পর্যায়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি স্ত্রীর বাড়িতে মারা যান।
বগুড়া জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, ‘এ বিষয়ে আইইডিসিআরে যোগাযোগ করলে তারা মৃত ব্যক্তির নাকের ছোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাতে বলেছেন এবং পিপিই দ্বারা আবৃত করে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ৩ বৃদ্ধকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা সেই এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার