সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, দুইটি ল্যাবে মোট ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ১৯ জনের করোনা পজেটিভ ও ৭৭ জনের নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া পুরাতন পজেটিভ একজনের আবারও পজেটিভ এসেছে।
‘নতুন করে করোনা শনাক্তসহ বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫৮ জনে। এর মধ্যে মোট ১৪৯৭ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ৩১ জন,’ যোগ করেন তিনি।
সিভিল সার্জন বলেন, সুস্থ ও মৃত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩০ জন। তাদের মধ্যে ২১ জন হাসপাতালে এবং বাকি ২০৯ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনই সদর উপজেলার। বাকিদের মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় ২ জন এবং পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, ভৈরব ও বাজিতপুর উপজেলায় ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন।
এ পর্যন্ত জেলার সর্বশেষ প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদর উপজেলায় ৪৩৭ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৪০ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১১১ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৮০ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৮৬ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১০৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০৫ জন, ভৈরব উপজেলায় ৫৩৪ জন, নিকলী উপজেলায় ৩২ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১৪৯ জন, ইটনা উপজেলায় ৩০ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৩৮ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
পুরো দেশের পরিস্থিতি:
করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশে এক দিনে আরও ৩৯ জন মারা গেছেন। সেই সাথে নতুন করে ৩ হাজার ৯৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা সোমবার এ তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৯১ জনে।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৭০৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৩১৭ জনে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।