ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার দক্ষিণ গুনাইঘর ইউনিয়নের মাশিকারা গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মো. আশেকে এলাহী এলাকার দুঃস্থদের জন্য ত্রাণ চাওয়ায় মারধর করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম খান ও তার সহযোগীরা। আশেকে এলাহী তার নিজ উদ্যোগে গ্রামের ১১০ জনকে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপরও অনেকে ত্রাণ না পাওয়ায় তিনি ৬৮ জনের একটি তালিকা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়ে ত্রাণের জন্য অনুরোধ জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান গত ১১ এপ্রিল চৌকিদার পাঠিয়ে আশেকে এলাহীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে আটকে রেখে গালিগালাজ ও দফায় দফায় মারধর করে এবং পিস্তল দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়া হয়।
পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে মাফ চেয়ে ছেড়ে দিতে বলে এবং তিনিও চেয়ারম্যানের কাছে মাফ চান। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বসলে সেখানেও তাকে মারধর করা হয় বলে ওই যুবক অভিযোগ করেন।
ঘটনার পর তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার পর তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্য স্থানে চলে যান। তার ও পরিবারের দাবি, এ বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে দক্ষিণ গুনাইঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম খান বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ আসেনি। তাকে বলার পরও সে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। সে বার বার ত্রাণের বিষয়ে কারচুপির অপবাদ দেওয়ায় তাকে কটু কথা বলেছি, তবে মারধর করিনি। আমার বলা কথাগুলো ভাইরাল হলেও আমাকে বলা তার কথাগুলো ফেসবুকে ভাইরাল হয়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ঘটনাটি জানার পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটি রিপোর্ট দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।