নিহত হাফসা আক্তার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বরতুলা মুন্সি বাড়ীর প্রবাসী ওয়ালিউল্লাহর মেয়ে। তার স্বামী গোলাম মাওলা ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক।
মঙ্গলবার নগরীর রানীর দিঘীরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে হাফসার লাশ ভুল ঠিকানায় হাসপাতালে এন্ট্রি করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
হাফসার ভাই নাজমুল হাসান জানায়, হাফসা আক্তার ও গোলাম মাওলা ফারুকের চার বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের তিনবছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। দুপুরে তাদের কাছে খবর আসে হাফসা গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং তার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে।
হাফসার পরিবাবের দাবি, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য হাফসাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নানা নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী ফারুক ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গত কয়েকদিন আগে ফারুক ব্যবসার জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দিলে তিনি হাফসাকে হত্যার হুমকিও দেয়।
কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে গোলাম মাওলা ফারুক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় মামলা করেছেন।