সংশ্লিষ্টরা জানায়, স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এফ এম মুশফিকুর রহমান দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। একই সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এছাড়া দাউদকান্দি মডেল থানায় জিডি করেন।
গত ১০ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খান এ প্রতিবেদনের প্রক্ষিতে, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে একমত পোষণ করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান, কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার ও চরগোয়ালী খন্দকার নাজির আহমেদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে অনুলিপি দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক, দাউদকান্দি শাখার ব্যবস্থাপকের লিখিত বক্তব্যে স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। স্বাক্ষর জাল সংক্রান্ত দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য লিখিত মতামত প্রদান করেছেন। তিনি এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খান জানান, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করেছি। তদন্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠাবো। তারা অধিকতর তদন্তে করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব বলেন, সভাপতির সাথে তার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। কোনো অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত নন।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি বেতন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে উত্তোলন হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছেন বলে সভাপতির অভিযোগ।