ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বেড়ে গিয়ে ১৩১ সেমি ও ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ১১৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘরে ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছে বানভাসি মানুষ।
বন্যার পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামে গত দুদিনে শিশুসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রৌমারীতে বাঁধ ভেঙে নতুন করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে কুড়িগ্রামে প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ভাঙনে ক্ষতি হয়েছে চার হাজার ৫৩৬ জনের এবং পানিবন্দী রয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ২৭২ জন।
বন্যার ফলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছেন পানিবন্দী মানুষ। চরাঞ্চলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সারাদিন পানিতে চলাফেরা করায় বানভানিরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো: হাফিজুর রহমান জানান, বন্যার্তদের সহায়তায় নতুন করে ৩ মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।