বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে উলিপুরের অনন্তপুর, যাত্রাপুর ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে এসব খাবার বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, সাঈদ হাসান লোবান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। ঘরে ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছে বানভাসি মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামে চলতি সপ্তাহে শিশুসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যার ফলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও আশ্রয়ের সংকটে ভুগছেন পানিবন্দী মানুষ। চরাঞ্চলে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সারাদিন পানিতে চলাফেরা করায় বানভানিরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে কুড়িগ্রামে প্রায় চার লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ভাঙনে ক্ষতি হয়েছে চার হাজার ৫৩৬ জনের এবং পানিবন্দী রয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ২৭২ জন।