জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত সৌদি আরব, ইতালি, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব বাংলাদেশি নাগরিকরা কুড়িগ্রামের ১১টি থানায় নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
এরমধ্যে কুড়িগ্রাম সদর থানায় ১০৭ জন, নাগেশ্বরীতে ৫৬ জন, কচাকাটায় ২১ জন, ভূরুঙ্গামারীতে ৫৫ জন, ফুলবাড়িতে ৬৬ জন, রাজারহাটে ৩৩ জন, উলিপুরে ৭৮ জন, চিলমারীতে ৩৫ জন, রৌমারীতে ৮২ জন, রাজিবপুরে ৬ জন এবং ঢুষমারায় ১ জন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে বিদেশ থেকে আসা যেসব নাগরিক কুড়িগ্রামে অবস্থান করছেন এদের মধ্যে ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলেও, ১৪ দিন পার হওয়ায় এরমধ্যে ৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ইমিগ্রেশন সূত্রে বিদেশফেরতদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সচেতন করাসহ বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইন না মানার অভিযোগ পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বিভিন্ন থানা সূত্রে জানা যায়, তালিকা ধরে এসব বিদেশফেরতদের খুঁজে বের করা কঠিন। অনেকের ঠিকানা মিলছে না। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলের সহযোগিতায় তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বিদেশফেরত নাগরিকরা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে জনসম্মুখে সর্বস্তরে বিচরণ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।