বৃহস্পতিবার আসামিরা মহানগর সিনিয়র বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তারা হলেন- সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক নেপাল চন্দ্র সাহা (তৎকালীন খুলনা করপোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক), ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার দেবনাথ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সহকারী কর্মকর্তা কাজী হাবিবুর রহমান।
এ মামলায় অপর আসামি মেসার্স সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম এমদাদুল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তিন দফায় ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮০ লাখ ৬৯ হাজার ১৭৪ টাকা ঋণ নিয়ে কোনো মালামাল না কিনে আত্মসাৎ করেন। এতে সরকারের সুদাসলে মোট ১২৬ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৮২ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালে খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জসিট) জমা দেয়ার সময় পর্যন্ত উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন ওই ৪ কর্মকর্তা, জানান দুদকের পিপি।