তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিষয়টি নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে সেটা বাস্তবে কতটুকু সত্য? চিকিৎসকদের বক্তব্যের সাথে দলের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। পছন্দের চিকিৎসক নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলছে চিকিৎসায় কোনো সংকট নেই। তার (খালেদা) স্বাস্থ্য ভালো আছে। দেশের বাইরে পাঠানোর মতো কোনো অবস্থা তার হয়নি।’
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই মানবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রধানকে বিদেশে পাঠানোর কথা তার দল বলছে, কিন্তু মেডিকেল বোর্ড তা বলছে না।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিআরটিএ আয়োজিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রতিপালন’ কর্মসূচি পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, পাশ হওয়া সড়ক পরিবহন আইন বিষয়ে সারা দেশে প্রচারণা চলছে। এ আইন সম্পর্কে শুরুতে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
‘যেহেতু আইনটি নতুন পাশ করা হয়েছে তাই অনেকেই এর বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত নন। পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও হাইওয়ে পুলিশসহ সর্বস্তরে বিষয়গুলো জানিয়েছি। প্রথম এক সপ্তাহ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেব। শুরুতেই কেউ ভুল করে আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানা আদায় করছি না। কিছুদিন সময় দিয়ে পরে পুরোপুরিভাবে এ আইন প্রয়োগ করা হবে। এখন প্রচারণায় সতর্কতা বিষয়ে মূলত প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে,’ যোগ করেন কাদের।
সড়কের অবকাঠামোর অনেক উন্নয়ন হলেও শৃঙ্খলায় ঘাটতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কারণে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি হয়। ‘আমরা এ বিষয়গুলোতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করব। হয়তো এ বিষয়ে আমাদের আরও একটু সময় লাগবে। তবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে সবার সচেতনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়েও প্রচারণা চালাব এবং মানুষের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।’
আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা পর্যায়ে শুরু হতে যাওয়া শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, ‘জেলা পর্যায়কে বাদ দিয়ে কিছু করা হচ্ছে না। এখানে সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রতিটি শাখার যেখানেই দুর্নীতি, দুষ্কর্ম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসা আছে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নতুন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘নির্বাচন যদি নিরপক্ষ না-ই হয় তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেন কেন? তার দলের সাতজন নির্বাচিত হয়ে সংসদে আছেন...সংসদে যোগ দিয়ে তাকে অবৈধ বললে তারা নিজেরাই অবৈধ হয়ে যান। এসব বিষয়ে অভিযোগের খাতিরেই অভিযোগ। বিএনপির একটি পুরোনো রোগ হচ্ছে নালিশ করা। আমরা যত ভালো কাজ করি না কেন তারা নালিশ করবেই। তারা নির্বাচনে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। তাদের নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে হলে কথামালা দিয়েই সন্তুষ্ট রাখতে হবে।’