খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১১৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে সর্বোচ্চ আক্রান্ত খুলনা জেলায় ৩ হাজার ৮৩৪ জন। এছাড়া যশোরে ১ হাজার ৪৮৭, কুষ্টিয়ায় ১ হাজার ২৯৩, ঝিনাইদহে ৭৪৬, সাতক্ষীরায় ৬১৬, নড়াইলে ৫৬৮, বাগেরহাটে ৪৮৯, চুয়াডাঙ্গায় ৪৬৯, মাগুরা ৩৫৫ ও মেহেরপুরে ১৪৩ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, বিভাগের মধ্যে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে খুলনা জেলা এখনও শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমছে। সময়োপযোগী প্রশাসনিক তৎপরতায় সুফল পাওয়া যাচ্ছে। জনসচতেনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে করোনামুক্ত সময়ে ফেরা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করনে।
এদিকে, খুলনা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ তিনজনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে খুমেক আরটি-পিসিআর ল্যাবে আরও ৮৬ জনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. সাদিয়া মনোয়ারা উষা জানান, খুলনায় মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮৮৮ জন। শনাক্তদের বেশির ভাগই খুলনা মহানগরীর। মহানগরে মোট করোনা রোগী ৩ হাজার ২১ জন। আর ৯ উপজেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৮১৩ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৬৭৩ জন এবং নারী ১ হাজার ১৬১ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৭ জন। মারা গেছেন ৫৮ জন।
এদিকে, খুলনায় শুরু হয়েছে করোনার ওষুধ ফেভিপিরাভিরের কার্যকরিতা নির্ণয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এ গবেষণা। খুলনা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. শৈলেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের নেতৃত্বে চলবে এই গবেষণা কার্যক্রম। এই গবেষণা কো-ইনভেস্টিগেটর হিসেবে আছেন খুলনা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এস কে বল্লভ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. তাহমিদা খানম, ডা. মাইনুল হক, ডা. রিশন ও ডা. অভিজিৎ।