তবে কর্তৃপক্ষ বলছে অবৈধ যান চলাচল রুখতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে, পুলিশি নজরদারি চলছে। কিন্তু জনবল সংকট থাকায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লা পর্যায়ে ট্রাফিক রক্ষার দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না। তবে অবৈধ যানবাহন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে খুলনা মহানগরীর বয়রা এলাকায় মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকচালক মফিজ উদ্দিন (৪০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। সেই সাথে তার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ১৭ বছর বয়সী শাহজালাল মাসুদ নামে এক মোটরসাইকেল চালক ও এক আরোহীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই মোটরসাইকেল চালকের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র ছিল না। তারপরও অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই চালককে আটক করার পর ছেড়ে দেয়ায় পুলিশের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বয়রার সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিন সড়ক দিয়ে হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল প্রধান সড়কে উঠে আসে এবং বয়রা বাজারের দিকে দিয়ে আসা একটি বাসের সামনে পড়ে যায়। বাসের চালক মোটরসাইকেল বাঁচাতে গিয়ে উল্টো সড়কে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জাকির হোসেন বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি মোটরসাইকেল ও চালককে বাঁচাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটছে। উঠতি বয়সী ওই যুবকের ভুলের কারণে একজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি দুজন মরতে বসেছে। এদের মোটরসাইকেলের কোনো কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত নেই।’
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, এ ঘটনায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীকে আটক করার পর রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বাসের চালককে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যানবাহন চলাচল রুখতে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জনবল সংকট থাকায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ট্রাফিকের দায়িত্ব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে নিয়মিত পুলিশি নজরদারি চলছে। অবৈধ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনো যানবাহনকে ছাড় দেয়া হবে না।’