তাদের মধ্যে দুজনের ময়মনসিংহে অবস্থানকালে নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। পরে তারা ওই অবস্থায় গাজীপুরে চলে আসেন। আর চারজনের গত ২২ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা সদর উপজেলার বাঘের বাজার, রজন্দ্রপুর, মহানগরের বড়বাড়ি ও টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকার কারখানা শ্রমিক।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, ‘শুক্রবার পর্যন্ত গাজীপুরে সাতটি পোশাক কারখানার ১০ শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষার ফল ভাইরাস পজেটিভ হয়েছে।’
গত ২৬ এপ্রিল প্রথম জয়পুরহাট জেলার এক পোশাক শ্রমিক আক্রান্ত হলে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ১ মে নওগাঁ জেলার এক শ্রমিককে টঙ্গীর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে, ২ মে রংপুর জেলার একজন ও ৬ মে লালমনিরহাট জেলার একজনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া আরও ছয়জন শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন জানান, সুনামগঞ্জে নমুনা দিয়ে গাজীপুরে এসে যে চারজন দুটি পোশাক কারখানায় তিন দিন কাজ করেছেন, তাদের সংস্পর্শে আসা শ্রমিকদের নামের তালিকা বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আর এ চারজন যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন ওই বাড়ির আরও ছয়জনের নমুনা গত বৃহস্পতিবার সংগ্রহ করে পরীক্ষা করাতে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।