পাশাপাশি জেলার সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলেদের নদীতে মাছ না ধরার জন্য বলা হচ্ছে। কৃষি ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেই আশঙ্কায় কৃষকদের নানা পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই জেলায় বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের আবহায়া অফিসের ইনর্চাজ সুরজুল আমিন ।
জেরার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, আম্পান ঝড়ের কারণে নর্থচ্যানেল, ডিক্রিরচর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নে চারটি ফ্লাড সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ির বাসিন্দাদের সেখানে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল প্রাইমারি স্কুল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আপদকালীন সময়ের জন্য শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া, মুড়ি ও গুড় মজুদ করা হয়েছে।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিন্টু বলেন, ট্রলার ও নৌকাসহ সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণকে সতর্ক করার জন্য মসজিদের মাইক ছাড়াও হাত মাইক দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। মাছ ধরার জন্য কেউ যেন নৌকা নিয়ে নদীতে না নামে সেজন্য বলা হচ্ছে।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘ফরিদপুরের এ মৌসুমে ২৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে যার ৫০ ভাগই এখনও কাটা হয়নি। এসব পাঁকা ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ’
এছাড়া, ৬৫০ একর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এসব কলা ও লিচু গাছে শক্ত বাঁশ দিয়ে বেধে রাখতে বলা হয়েছে। ঝড়ে পাটের তেমন ক্ষতি হবে না বলে তিনি জানান।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘আম্পান ঝড়ের কারণে উদ্ভুত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। জেলায় সবমিলিয়ে ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে শুকনো খাবার তৈরি করে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষের জন্য সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’