নিহতরা হলেন- লক্ষ্মী রাণী সরকার (২২) ও তার দুই বছর বয়সী কন্যা অনন্যা রাণী সরকার। এ ঘটনায় লক্ষ্মীর স্বামী নন্দন সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।
সিএমপির পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, লক্ষ্মী রাণীর স্বামী নন্দন সরকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার ভ্রাম্যমাণ চা-দোকানি। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। স্বামীর সঙ্গে ষোলশহরের ভাড়া বাসায় থাকতেন লক্ষ্মী রাণী।
লক্ষ্মীর স্বামীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভোরে নন্দন সরকার চা বিক্রি করতে বেরিয়ে যান। বিকাল ৪টার দিকে বাসায় ফিরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় তিনি সেটি ভেঙে দেখেন যে কাঁচা ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে একই রশির এক প্রান্তে মা এবং আরেক প্রান্তে মেয়ে ঝুলছে। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে বলে জানান ওসি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপাতত এই ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যা বলে মনে করছি না। কারণ, দুই বছরের মেয়েটা তো আর নিজ থেকে রশিতে ঝুলে পড়েনি। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’