তারা হলেন, মো. মহিউদ্দিন (প্রধান আসামি), তার ছোট ভাই মো. রাব্বি, মো. খাইয়ুম, মো. ইরফান, মো. ইয়াসিন ও মো. আব্দুল করিম। তারা সবাই শিকলবাহা এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার এসএসপি মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, প্রধান আসামি মহিউদ্দিনের সাথে এলাকার এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়ের মা কবিরাজের কাছে গিয়ে তাদের আলাদা করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে মহিউদ্দিন ও মেয়েটি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে মেয়েটি মহিউদ্দিনকে তাদের আলাদা করার চেষ্টার কথা জানালে তিনি কবিরাজের ওপর হামলা করেন। হামলার পর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা কবিরাজ সাগরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসএসপি মাহমুদুল আরও জানান, গ্রেপ্তারদের দেয়া তথ্য মতে শিকলবাহা এলাকার একটি গোয়ালঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা তিনটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তরের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কবিরাজ সাগরকে ১৯ এপ্রিল লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাগরের পরিবার শিকলবাহা থানায় একটি মামলা করে। হত্যার শিকার সাগর শিকলবাহা ইউনিয়নের অলির বাপের বাড়ির মৃত হাসেমের ছেলে।