সোমবার রাত দেড়টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জালাল উদ্দিন (৫০) দিনাজপুর জেলার কোতোয়ালী থানার দরবারপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র। নিহত বাস চালকের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও সংশ্লিষ্ট ১৯ রুট এবং চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কসহ সংশ্লিষ্ট ৬৮টি রুটে ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটি।
ঘটনার ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর মাহমুদ জানান, শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপক মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাসটিতে থাকা কয়েকজন যাত্রী ও সহকারীরা জানায়, শ্যামলী পরিবহন এন. আর ট্রাভেলস চেয়ার কোচটি কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ভেল্লাপাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গাড়িটির গতিরোধ করে। গাড়িতে কোটি টাকার ইয়াবা আছে বলে তল্লাশি করা হয়।
সাদা পোশাকের ডিবির দলটি গাড়ির চালক জালালকে নামিয়ে পাশের একটি বালুমহালে নিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা এবং কিল ঘুষি এবং লাথি মারে। পরে তারা চালককে মুমূর্ষু অবস্থায় বাসের ভেতরে রেখে চলে যায়।
পরে বাসটির সুপারভাইজার আজিম উদ্দিন চালককে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়
গাড়ির সুপারভাইজার আজিম উদ্দিন জানান, চালককে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নুরে আলম মিনা বলেন, ‘বাসের সুপারভাইজার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি- ডিবি পরিচয়ে যারা বাসে উঠেছিল তারা সাদা পোশাকে ছিল। শার্টের ওপর ডিবির ইউনিফর্ম ছিল না। যদি সত্যিই ডিবির টিম রাতে অভিযান চালাতো, তাহলে অবশ্যই ইউনিফর্ম থাকত। আর জেলা পুলিশের ডিবি ইউনিটকে শুধু মামলার তদন্ত ছাড়া অভিযানে এখন পাঠানো হয় না।’
তিনি বলেন, ‘ধারণা করছি গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে পেশাদার অপরাধী চক্রের কেউ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’