গ্রেপ্তারকৃতারা হলেন- সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মো. নিজাম উদ্দিন (৩০), তার স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৭), পপি বেগম (৩০), সোনিয়া বেগম (২২), মো. লিটন (২৯) ও ফিরোজা বেগম (৬৫)।
মঙ্গলবার বিকালে সিএমপির সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নগরীর আগ্রাবাদ মীর ফ্যাশন নামে একটি গার্মেন্টসে কাজ করা এক কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, কয়েক মাস আগে মীর ফ্যাশনের শ্রমিক ওই কিশোরীর সাথে সিএনজি চালক নিজাম উদ্দিনের পরিচয় হয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মেয়েটিকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পরবর্তিতে বিয়ে করার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে আগ্রবাদ চৌমুহনী নাজিরপাড়ায় একটা ভাড়া বাসায় ওঠে নিজাম। সেখানে মেয়েটিকে আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে নিজামের পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে সেখান থেকে মাদারবাড়ি অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মারধরসহ শারীরিক নির্যাতন করে।
ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, নিজামের আগের স্ত্রী টের পেয়ে ওই কিশোরীকে ধরে নিয়ে এসে ৭ এপ্রিল সারাদিন নির্যাতন করে। চুল কেটে দেয় ও গালে আগুনের সেক দেয় এবং পুলিশকে না জানানোর জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। নির্যাতন করে ভিডিও করে। নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়ে কিশোরী ফুফুর বাসায় চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘ভিকটিম ওই কিশোরী পুলিশকে ভয়ে কিছুই জানায়নি। আমরা সোর্স থেকে সোমবার খবর পাওয়ার পর ভিকটিম কিশোরীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে মামলা নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি।’