সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার ছোট ভাইয়ের নামে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এ প্রকল্প উদ্বোধনের মাধ্যমে বন্দর নগরীর সুপেয় পানির চাহিদার ৮৩ ভাগ সরবরাহ সম্ভব হবে আশা করছে ওয়াসা।
প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রাম ওয়াসার নতুন প্রকল্প থেকে নগরীতে দৈনিক ৯০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ শুরু হচ্ছে। ওয়াসার কারিগরি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১০০ মিলিয়ন লিটার।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ জানান, ‘২০২১ সালের পর পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় আর কোনো সমস্যা থাকবে না। আপনারা বাড়িতে বসে যখনই ট্যাপ খুলবেন তখনই পানি পাবেন। ওই পানি খেতেও পারবেন।’
এছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় ১৫শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ ও ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ভান্ডালজুরি পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ চলছে।
প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ আরও বলেন, ২০১৫ সালে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ নতুন করে শুরু হয়। বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। কোরিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। নগরবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে ও নগরীতে পরিশোধিত পানি সরবরাহ করতে রাঙ্গুনিয়ার ভান্ডালজুরি নামক স্থানে কর্নফুলী নদীতে আরও একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী সৌমিত পাল বলেন, পরিশোধিত পানি পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন এ প্রকল্পের পরিশোধিত পানির কোনো পর্যায়েই ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো ধরনের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে নগরবাসী না ফুটিয়েই এ পানি পান করতে পারবে।