শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বেলাল হোসেন দফাদার (৩৯) সীতাকুণ্ড উপজেলার কালু শাহ মাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি আগে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় থাকতেন।
পুলিশের দাবি, বেলাল বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ধর্ষণের মামলা। তিনি মূলত একজন ‘সিরিয়াল শিশু ধর্ষক’ ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (উত্তর জোন) বিজয় বসাকের ভাষ্য, সাম্প্রতি বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় পাঁচ, আকবর শাহ এলাকায় দুই ও খুলশী এলাকায় এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এসব ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশ বেলাল দফাদারের সম্পৃক্ততার তথ্য পায়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে শান্তিনগর আবাসিক এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেলাল ও তার সহযোগীরা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ পাহাড়ের দিকে এগিয়ে গেলে বেলালের সহযোগীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বেলাল মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
২০১৬ সালে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় এক শিশুকে ধর্ষণের জন্য অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা বেলালকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছিল। এক বছর আগে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত জানুয়ারি থেকে তিনি আবারও ওই এলাকায় আসতে শুরু করেন। এরপর থেকে এলাকায় শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যায়। গত ছয় মাসে আট শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। সর্বশেষ গত ১৫ দিনে দুটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয় হয় বলে জানান বায়োজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।