শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ।
এদিকে ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসক, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও আউটডোর স্টাফসহ মোট ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সেই সাথে শুক্রবারেই ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে বলে ইউএনবিকে জানান জেলা সিভিল সার্জন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবকের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ জানার পরে পুরো উপজেলা জুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় পুলিশের সাহায্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীসহ ওই রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানিয়েছে, ওই রোগী যেসব স্থানে পূর্বে এসেছিলেন অর্থাৎ জরুরি বিভাগ, ল্যাব রুম, বহির্বিভাগের প্রতিটি কক্ষ জীবাণু ও ভাইরাসমুক্ত করণে বিশেষ কার্যক্রম চলছে। ফলে কয়েক দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকতে পরে।
করোনায় আক্রান্ত ওই যুবকের পৈত্রিক বাড়ি রংপুরে। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি কাশি, হাঁচি, ঠাণ্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪ এপ্রিল শ্বশুরবাড়ি মতলব উত্তরের কলাকান্দা ইউপি’র হানিরপাড় গ্রামে আসেন। ৭ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে আসা মোট ৫৯৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।