নিহত গৃহবধূ তানজিনা আক্তার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর মুন্সীর বাড়ির মুন্নাফ মুন্সীর মেয়ে। তার স্বামী জুয়েল খান চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডি তপাদার বাড়ির নুরু খানের ছেলে।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমেদ কাজল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় জুয়েল তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইসিজি পরীক্ষার পর তানজিনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ইসিজি করার সময় এক ফাঁকে জুয়েল তার স্ত্রীর লাশ রেখে হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও তার স্বামী ফিরে না আসায় এটিকে অপমৃত্যু হিসেবে চাঁদপুর মডেল থানায় অবগত করা হয়।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে নিহতের ছোট ভাই মেহেদি হাসান জানান, তানজিনার সাথে জুয়েলের প্রেমের বিয়ে হয়। কিন্তু দুজনের মনের মিল না থাকায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো এবং জুয়েল তানজিনাকে প্রায়ই মারধর করতো।
২০১৮ সালে শেষের দিকে জুয়েলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করে তানজিনার পরিবার। মামলাটি এখনো চলমান এবং তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম।