এছাড়া অপর আসামী মো. রিপনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামী ফারহান ওরফে ফেন্সীকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।
নিহত নাসির উদ্দিন মিয়াজী বাড়ীর আব্দুল মতিন মিয়াজীর ছেলে। বাদী ও বিবাদীরা একই বাড়ীর বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মামলার বাদী মো. গিয়াস উদ্দিন ও তার আপন ভাই নিহত নাসির উদ্দিন রমজানের ইফতারের পরে বাড়ীর পুকুরে নামাজের জন্য অযু করতে যান। সেখানে একটি গরু বেঁধে রাখা নিয়ে রিপনের সাথে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে রিপন তাদের ঘরে থাকা শাবল দিয়ে নাসিরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই অবস্থায় নাসির চিৎকার করলে রিপনের সাথে অপর আসামী জুয়েল ও ফেন্সি ঘরে থাকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নাসিরকে বেদম পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
গুরুতর অবস্থায় নাসিরকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নাসির উদ্দিনের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন ঘটনার দিন বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান ব্যাপক তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, মামলাটি প্রায় ১৩ বছর আদালতে চলমান অবস্থায় ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমান ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা পলাতক ছিলেন।