বুধবার জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নোটিশ বোর্ডটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করেন।
এসময় তিনি বলেন, জঙ্গলের ভেতর থাকা ৫শ’ বছরের পুরনো এই মসজিদটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। সেই আলোকে জায়গাটি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। মসজিদটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। আজ বিজ্ঞপ্তি সাইন বোর্ড আকারে স্থাপন করা হল। অচিরেই এটি সংরক্ষণ উন্নয়ন কাজ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে করা হবে।
তিনি মসজিদটি সংরক্ষণের বিষয়ে বলেন, চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্য এটি পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় সরকার। সংরক্ষণ উন্নয়ন কাজ হলে এলাকাটি পর্যটন স্থানে পরিণত হবে। ইতিমধ্যেই এটির প্রচার হওয়ায় প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এখানে আসছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো: আতাউর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরেরর ফিল্ড অফিসার মো: শহীন আলম, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো: হাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মমিন উদ্দিন আহমেদসহ, অন্য সকল ইউপি সদস্য।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো: আতাউর রহমান ইউএনবিকে জানান, ১৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তির পরে এটি সুন্দরভাবে সংরক্ষণের যাবতীয় উন্নয়নসহ জায়গাটি সুন্দর করতে যা যা করা দরকার সেই কাজগুলো করা হবে। জনসাধারণকে অবগত করতে সাইন বোর্ডটি লাগানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুলতানি/মুগল আমলের এক গম্বুজ মসজিদটি গত বছর সংরক্ষণের জন্য উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকজন এটি পরিদর্শন করেন। পরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছেন, এটি প্রায় ৫শ’ বছর আগে নির্মিত মসজিদ।