আটক আব্দুর রহমান প্রান্ত (১৮) একই উপজেলার বানসা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
এ ঘটনায় রবিবার বিকাল ৪টায় ভুক্তভোগীর ভাবি বাদী হয়ে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত শনিবার দিবাগত রাত ২টায় আব্দুর রহমান প্রান্ত স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীর বসত ঘরে ঢুকে পড়ে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে প্রান্তকে বাইরে আসতে বলে। এসময় প্রান্ত ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদে উঠে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে ওই কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার বাদী বলেন, গত ছয় বছর আগে তার শাশুড়ি মারা যান। তার শশুর, স্বামী ও দেবররা বিদেশে থাকায় ননদকে নিয়ে তারা বাড়িতে থাকেন। শনিবার তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে তাদের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরের অন্য কক্ষে তার ননদ একা থাকতো। রাত ২টার দিকে তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রহমান প্রান্ত তার ননদের কক্ষে ঢুকে পড়ে।
তিনি আরও জানান, তার ননদকে গত তিন মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রহমান প্রান্ত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক করে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে কিশোরীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলেন প্রান্ত।
এ ঘটনায় কিশোরীর ভাবির দায়ের করা মামলায় আটককৃত আব্দুর রহমান প্রান্তকে বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে, বলেন ওসি।