বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খাসকররা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিমলা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের পশুহাট পাড়ার মৃত আকবর আলীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সিমলার শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে তার লাশ ঝুলতে দেখা যায়। তবে এসময় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ বাড়িতে ছিলনা। পরে স্থানীয়রা সিমলার বাবার বাড়িতে খবর দিলে তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত সিমলার বড়ভাই লাল্টু মিয়া জানান, তিনমাস আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের নবিছদ্দিন সর্দ্দারের ছেলে আকছেদ আলীর সাথে বিয়ে হয় সিমলার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিল আকছেদ। তাকে প্রথমে ১ লাখ ও পরে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। এরপরও যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো সিমলাকে।
নিহতের পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য সিমলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি আসাদুজজামান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল রহস্য জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।