এ ঘটনায় বুধবার বিকালে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আকাশ (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরেক আসামি আলামিনকে (২৬) ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোনোভাবেই ধর্ষকদের ছাড় দেয়া হবে না। এরা সমাজের নোংরা কীট। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।’
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে উজিরপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার নানীর বাড়ি থেকে ওই তরুণী নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আলামিন ও শহিদ মণ্ডলের ছেলে আকাশ তার গতিরোধ করে। এরপর তাকে জোরপূবর্ক একটি ঘাস ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রমজান আলী বলেন, ‘মাঠে কাজ করা অবস্থায় ঘাস ক্ষেতের মধ্যে গোঙরানির শব্দ পেয়ে আমরা কয়েকজন এগিয়ে যাই। এরপর আমাদের উপস্থিতি দেখে আলামিন ও আকাশ পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় আকাশ পালিয়ে গেলেও আমরা আলামিনকে আটক করি। পরে আলামিনের স্বজনরা আমাদের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
নির্যাতিত ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে ওঠে। গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্যও নানাভাবে চাপ দেয়া হয়। থানাতে আসতেও বাধা দেয়া হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, বুধবার দুপুরে ধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। অনুসন্ধানে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা মেলে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নির্যাতিত কিশোরী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন। দুপুরেই নির্যাতিত ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত গাজী শামিমুর রহমান জানান, মামলার পর নির্যাতিত তরুণীকে পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে বিকালে চুয়াডাঙ্গা শহরের কাঠপট্টি এলাকা থেকে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।