হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর বিকালে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ছাগলফার্ম এলাকা থেকে দায়িত্বপালনরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
অসীম ভট্টাচার্য খুলনার দৌলতপুরের মৃত দুলাল ভট্টাচার্যের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সিআইডি বিভাগে কর্মরত।
পুলিশ জানায়, বিকালে ঘোড়ামারা ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে ডিউটিরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসসহ চারজন কনস্টেবল। এ সময় মুখে গামছা জড়িয়ে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তার গতিরোধ করেন।
ট্রাফিক সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘গাড়ি থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমরা তার মুখের গামছা সরালে অসীমকে চিনতে পারি। এসময় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে সে পালানোর চেষ্টা করে। আমরাও তার পিছু ধাওয়া করি। প্রায় দেড় কিলোমিটার অতিক্রমের পর আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ সময় অসীম তার কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে এক কনস্টেবলকে আঘাত করারও ব্যর্থ চেষ্টা করে।’
এদিকে গ্রেপ্তারের পর অসীম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুঁটে যান এবং দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্যদের নগদ অর্থ পুরস্কৃত করেন।
প্রসঙ্গত, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদরাসা পাড়ার ভাড়া বাসাতে শাশুড়ি শেফালী অধিকারীকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে চুয়াডাঙ্গা সিআইডিতে কর্মরত কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য। ঘটনার পর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন তিনি।