বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধিমালা অনুসরণ করে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলাল আহমদ।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পৌঁছে ডা. মঈনের মরদেহ।
স্বজনরা জানান, লাশ দাফন উপলক্ষে বিকাল থেকেই নাদামপুরে অবস্থান নেয় আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের লোকজন। সেই সাথে কয়েকজন সহকর্মী পিপিই পরে ছুটে আসেন। পরে কবরস্থানের পাশে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। একটু দূর থেকে ২০-৩০ জন জানাজায় অংশ নেন।
ডা. মঈনের ছয় স্বজনকে পিপিই পরিয়ে দাফন কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। তবে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার শর্ত দেয়া হয়েছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন বুধবার সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ডা. মঈন ছিলেন সিলেটের প্রথম করোনা রোগী। গত ৫ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সহকর্মীদের পরামর্শে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা নিতে থাকেন।
পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দুদিন পর ৭ এপ্রিল শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের ইচ্ছায় চিকিৎসার জন্য পরের দিন ৮ এপ্রিল তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়।