সোমবার সকালে নাটোর শহরের উপরবাজার এলাকার বাসা থেকে তাকে গেপ্তার করা হয়।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, রুপা খাতুন তারই ছোট বোনের ননদ সাদিয়া ইসলাম মৌকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সমকামিতায় বাধ্য করে।এক পর্যায়ে গত ২১ আগস্ট মৌকে নিয়ে পালিয়ে যায় রুপা। তিনদিন পর ২৪ আগস্ট মৌকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে রুপা।ওই দিনই রুপার বাসায় মৌ এবং রুপা দুজনকেই বিষ পান করা অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের স্বজনরা।উভয়কেই নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।সেখানে মারা যায় মৌ।সুস্থ্য হয়ে নিরুদ্দেশ হয় রুপা।
এ ঘটনায় মৌ এর বাবা হত্যার অভিযোগ এনে সুফিয়া বেগম রুপাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, রুপাকে গ্রেপ্তারের পরই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, আলোচিত রুপা খাতুন চলাফেরা করতো পুরুষের পোশাক পড়ে।বাইরে থেকে নিজেকে পুরুষ বানিয়ে রাখতো সে। নিজেকে পরিচয় করাতো বিজিএমসির একজন কর্মকর্তা হিসাবে।রুপ নামে কিছু ভিডিও বানিয়ে টিকটকে আপলোড করে তরুনীদের মাঝে পেয়েছিল জনপ্রিয়তা। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে মেয়েদের প্রেমের ফাদেঁ ফেলে তুলে রেখেছিলেন তাদের কিছু গোপন ছবি। রুপের গোপন খবর যেনে যাওয়ার পর তার সঙ্গ ত্যাগ করতে গিয়ে বিপদে পড়েছে বেশ কয়েকজন। টিকটকে এসব গোপন ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে রুপা তাদের বাধ্য করেছে তার সাথে সমকামিতায় জড়াতে।
রুপার বাবা নাটোর শহরের ভাবানীগঞ্জ এলাকার এক পান বিক্রেতা রুবেল হোসেন জানান, তিনি তার মেয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত নন।