এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলার চেঁচরীরামপুর এম এল মাধ্যমিক বিদালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষক সঞ্জিব কুমার দাসকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি কোনো কর্মসূচিতে যোগ দেন না। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচি পালনে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সহকারী প্রধান শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন ও সহকারী শিক্ষক সঞ্জিব কুমার দাস বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে আসেননি। এমনকি এ দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের কর্মসূচিতে যোগদানে বাধা দেন। অভিভাবকদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নানা কটূক্তি করে অনুষ্ঠানে যেতে নিষেধ করেন তারা।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মো. মেহেদী হাসান গত ১৫ আগস্ট দুই শিক্ষককে শোকজ করেন। এর অনুলিপি প্রদান করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক, উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন ১১ জনের কাছে।
বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক বিষয়টি তদন্তের জন্য ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান খানকে দায়িত্ব দেন। তিনি বুধবার অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন।
চেঁচরীরামপুর এম এল মাধ্যমিক বিদালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠান করেছি। প্রধান শিক্ষক শোকজ করার এখতিয়ার রাখেন না। আমরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছি।’
ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘ডিডি স্যারের নির্দেশে আমি তদন্ত শুরু করেছি। বিদ্যালয় এলাকায় রাজনৈতিক জটিলতা রয়েছে, তাই সকল শিক্ষক ও কর্মচারীকে আমার অফিসে উপস্থিত করে তাদের বক্তব্য শুনেছি। এখনও প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি। প্রতিবেদন ডিডি স্যারের কাছে পাঠানো হবে, তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’