মঙ্গলবার ওই উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের মেছনী পিয়াজুপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ রুনা আক্তার (২৫) উপজেলার ধনতলা গ্রামের হুসেন আলীর মেয়ে। তার স্বামী মোশাররফ হোসেন মুসা (৩৫) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের মেছনী পিয়াজুপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
নিহতের মা শামসুন্নাহার বলেন, ছয় বছর আগে ৬ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে মোশাররফ হোসেনের সাথে মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে বিচার-সালিসও হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে মেরেই ফেলেছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাব্বেরুল হক জানান, লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসার আগেই শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন পালিয়ে গেছে। তবে রাতে রুনার শাশুড়ি হাসিনাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।