আম ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাকালে আমের বাজারজাতকরণ নিয়ে এমনিতেই সবাই শঙ্কায় ছিলেন। এরমধ্যেই গত এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হওয়ায় অধিকাংশ আমের গায়ে কালসিটে দাগ পড়েছে। কিছু কিছু আম ফেটে পচন ধরছে আবার কিছু আম বোটা নরম হয়ে ঝরে পড়েছে। একটানা বৃষ্টির ফলে প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করাও সম্ভব হয়নি।
ঠাকুরগাঁও রোডে আমের বড় বাজারের পাশাপাশি শহরের পাঠাগার চত্বরেও এবার আমের দোকান বসেছে। কিন্তু তেমন বিক্রি নেই। বেশির ভাগ দোকানদারই অলস বসে থাকেন ক্রেতার অপেক্ষায়।
মিলন নামে এক আম ব্যবসায়ী জানান, এবার আম বড় হয়নি এবং আমের গায়ে দাগও পড়েছে। সরাসরি বাগান থেকে কেনার পর তার দোকানে ৬০ মণ আম অবিক্রিত পড়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ী আমিরুল বলেন, ‘এক বছর আগে আমের বাগান লিজ নিয়ে পরিচর্যা করেছি, সময় মতো সেচ দিয়েছি। ফলন ভালো হলেও আম নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছি। বিক্রি না হওয়ায় বাগান পড়ে আছে।’
আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে আম বিক্রি করতে না পারলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে। আমের ফলন হয়েছে ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রধান ছিল সূর্যপুরী ও আম্রপালি আম।
বৃষ্টি কমে গেলে কয়েক দিনের মধ্যে আমের দাম এবং বিক্রি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।