পুলিশ ও কিশোরীর স্বজনরা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সুতার ফ্যাক্টরিতে চাকরির সুবাদে পীরগঞ্জ উপজেলার সেনুয়া বানিয়াপাড়া গ্রামের আলতাফুর রহমানের ছেলে আসামি নয়নের সাথে রানীশংকৈল উপজেলার এক কিশোরীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে নয়ন সোমবার কিশোরীকে দেখা করতে বলে। পরে ওই কিশোরী তার প্রতিবেশী আরেক কিশোরীকে নিয়ে রানীশংকৈল থেকে পীরগঞ্জে আসে এবং পূর্ব চৌরাস্তায় তাদের দেখা হয়। এক পর্যায়ে কৌশলে নয়ন ও তার চার সহযোগী তাদেরকে সবুজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
প্রথমে সেখানে ও পরে আখ খেতে নিয়ে সেনুয়া বানিয়াপাড়া গ্রামের আলতাফুর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম, একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ফরিদ হোসেন, ফজলুর রহমানের ছেলে সেলিম, ভোমরাদহ চিলাছাপা গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে সবুজ ও সেনুয়া নাপিতপাড়া গ্রামের হরিদাস চন্দ্র শীলের ছেলে হিরেন চন্দ্র শীল পালাক্রমে ভিকটিমদের ধর্ষণ করে। পরদিন মঙ্গলবার অসুস্থ অবস্থায় ভিকটিমরা বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনার বিবরণ জানায় ।
এরপর মঙ্গলবার রাতে পীরগঞ্জ থানায় এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আলম জানান, দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।