জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, তিনি সব যাত্রীদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ও বাসটির কাগজপত্র জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোনো গণপরিবহন ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ বা জেলা থেকে বাইরে যেতে পারবে না বলে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রবেশের সময় একটি যাত্রীবাহী বাস ও ১৪টি মাইক্রোবাস, পিকআপ ও অ্যাম্বুলেস জব্দ করেছে পুলিশ। এসব যানবাহন যোগে ঢাকা থেকে গোপনে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আসে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রত্যেক গাড়ি চালককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া সব যাত্রীদের শহরের উত্তরে অবস্থিত যুব উন্নয়ন কেন্দ্রের হোস্টেলে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জব্দকৃত যানবাহন জেলা পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে।
ইউএনও জানান, আগেই বেশ কিছু গাড়ি যাত্রী নিয়ে জেলায় ঢুকেছে। তাদের খুঁজে বের করা হবে। অনেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণে নারায়ণগঞ্জকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ঝুঁকিপূর্ণ (হটস্পট) হিসেবে চিহ্নিত করেছে।