রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের রথখোলা লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসিন শহরের ওয়ারলেস পাড়ার মনি মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসাইনের ভাষ্য, রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামি ইয়াছিনকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই দাবি করেন, রাত ২টার দিকে তাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে গেলে ইয়াছিনকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। সেসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও আসামি ইয়াছিন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই কর্মকর্তা আরও দাবি করেন, গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বিকালে ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াছিন। পরের দিন পাশের টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আর এ ঘটনার পর ফাতেমা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয় শহরে।