ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বিকাশের টাকা বিতরণ কর্মকর্তাকে (ডিএসও) হাতুড়িপেটা করে প্রায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া তিন লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: বিকাশ আবারও দেশের ‘সেরা ব্র্যান্ড’

ররিবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা এ কথা জানান।

আরও পড়ুন: বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো ম্যাপ

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বুড়াইচ গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে শামীম শেখ (৩৪) ও সদর ইউনিয়নের হিদাডাঙ্গা গ্রামের সরোয়ার মুন্সির ছেলে দিদার মুন্সি (৩২)।

আরও পড়ুন: বিকাশে পাঠানো রেমিটেন্সে মিলছে ১ শতাংশ ক্যাশ বোনাস

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, বিকাশের ডিএসও কামরুজ্জামান মিন্টু মোটরসাইকেলযোগে গত ১০ জানুয়ারি এজেন্টদের সাথে টাকা লেনদেনের জন্য আলফাডাঙ্গা যান। পথিমধ্যে নওয়াপাড়া হাওড়ের ব্রিজের অদূরে চারজন দুর্বৃত্ত তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে প্রথমে হাতুড়িপেটা করে। এরপর ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে রাখা ৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে না থেমেই বিকাশে টোল পরিশোধ

ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পরনের তিনটি জ্যাকেট, একটি হাফ হাতা সোয়েটার, দুটি শীতের টুপি ও মিন্টুর মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পানিপাড়া ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। এ ঘটনায় বিকাশের ডিএসএস ফয়সাল আহমেদ বাদী হয়ে ১৩ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন।

আরও পড়ুন: মুরাদনগরে চাঞ্চল্যকর বিকাশ হত্যার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী গ্রেপ্তার

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত শুক্রবার ঢাকা হতে প্রথমে শামীম শেখকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী দিদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুজনের কাছ থেকে দেড় করে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন: কুইজ খেলে সাড়ে ২২ লাখ টাকা পেলেন বিকাশের ৪৫০০ গ্রাহক