ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ডাঙ্গি ইউনিয়নের বাসাগাড়ি হতে কাজী বাড়ির মধ্যবর্তী ১,২৯০ মিটার অংশে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কে সংস্কারের কাজ চলছে।
কাজ তদারকিতে নিয়োজিত ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘সংস্কার কাজ চলাকালে বেকু মেশিন পরিচালনার সুবিধার্থে মহাসড়কের মধ্যে চলে আসা উভয় পাশের কিছু ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কোনো গাছ কাটা হয়নি। এসব ডাল কাটার জন্য বনবিভাগকে লিখিতভাবে অনুরোধও জানানো হয়েছে।’
কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের দুপাশে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩০টির মতো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এসব গাছের প্রায় অনেকগুলো বেকু মেশিন দিয়ে মাটির গভীর থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে। কিছু গাছ শেকড়সহ নিয়ে গেছে। আবার কিছু গাছের শেকড় এখনও রয়ে গেছে। পাশাপাশি কেটে ফেলা কিছু গাছ এখনও পড়ে আছে।
গাছ কাটার কথা স্বীকার করে ডাঙ্গি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী বলেন, গাছ কাটার পর কিছু গাছ তারা ইউনিয়ন পরিষদকেও দিয়েছে। এসব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ব্যানার ও ফেস্টুন বানানো হবে। এসব গাছ আনতে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেকু চালানোর সুবিধার্থে ডাল কাটার অজুহাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্য সহকারী (ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট) জিন্নাত আলীর নেতৃত্বে রাতের আধারে এসব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। তবে জিন্নাত আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ‘সড়ক বিভাগ থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও সেখানে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেইনি। কেউ যদি সেখানে অনুমতি ছাড়া গাছ কেটে নেয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।