শনিবার সকাল থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন।
তিনি জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত বরিশালের গৌরনদী উপজেলার এক ব্যক্তি (৬৫) মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে মারা যায় ১৭ দিন বয়সের এক শিশু। তার বাবা বরিশাল নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় ওই শিশুর করোনা পজিটিভ এসেছিল। ৬ জুলাই ওই শিশুকে তার স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
একই দিন সকাল ৭টার দিকে মারা যান ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার এক নারী (৬০)। শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন ওই নারী। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে মারা যান ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। ভর্তি রেজিস্টারে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসকের স্বজন বলে বৃদ্ধের পরিচয় দেয়া রয়েছে। গত ৭ জুলাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
একই দিন রাত ১২টার দিকে মারা যান ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার এক বৃদ্ধ (৬৫)। ওই বৃদ্ধ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ২৮ জুন বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৯ জুন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ এসেছিল।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে মারা যান বরিশালের উজিরপুর উপজেলার পূর্ব সাতলা এলাকার এক বৃদ্ধ (৬৮)। ওই দিন দুপুরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে মারা যান বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বৃদ্ধ (৮০)। গত ৪ জুলাই জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ৯ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছিল।
এছাড়া, শনিবার সকাল ৮টা ১৫ এর সময় মারা যান পটুয়াখালীর এক নারী (৮৬)। নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ এসেছিল। ৭ জুলাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ থেকে ১২ জুলাই দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।