কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও আরও তিন জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের বশিরপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া (২০), একই গ্রামের বারিক মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ জসিম (২১) ও আবদুল মিয়ার ছেলে আফিজ মিয়া (২০)।
এদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থেকে স্থানীয় মাতব্বরেরা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাদী তার লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, কিছু দিন পূর্বে ভুক্তভোগী কিশোরীর সাথে অভিযুক্ত মিজানের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে মিজানের সাথে মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথা হতো কিশোরীর। আর সেই সুবাধে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ওইদিন (ঈদের দিন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কিশোরীকে ফোন করে দেখা করতে বলে মিজান। তখন সে (কিশোরী) ঘর থেকে বের হলে মিজান ও তার সহযোগী জসিম-আফিজসহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা যুবক তাকে ঝাপটে মুখ চেপে ধরে। এরপর তারা মেয়েটিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তি নির্জন স্থানে (সরকারি পুকুরের পাড়ে) নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাকে সংজ্ঞাহীন করে সারা রাত পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন করা হয়।
পরের দিন ২৬ মে ভোরে ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তি বাড়ির বাসিন্দা করুনা চন্দ্র মেয়েটিকে রক্তাক্ত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে ডেকে তুলে পরিচয় জানতে পারেন। এসময় তিনি (করুনা) তার ঘর থেকে কাপড় এনে মেয়েটির শরীর ঢেকে তার নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন।
বাড়িতে ফেরার পর মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর তারা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, মামলাটি তদন্ত করবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। আর তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।